জাগ্রতচিত্ত রবির কিরণে

আজি এই রাঙা প্রভাত ফেরিতে,
জাগ্রতচিত্ত ফুটে ওঠে রবির কিরণে।
হৃদয়ের কিনারা জুড়ে মৃদু বাতাস বহে,
প্রাণে মোর সুখের আবেশ লাগে দমকা হাওয়াতে।
কী করে পশিল গুহার আঁধার আবছা মনে?
তা জানিনা ওগো অন্তরজামী নীর।
মনের বাসনা আবেগ রুধিয়া রাখিতে পারি না,
অম্লকাননে ফুটছে ফুল দ্বারে দ্বারে সকলের তরে।
আর কত দূর বহুপথ হেঁটে, যাবো পাথরের দেশে?
সেখানে কী ফুটবে ফুল বিনা অশ্রুপাতে?
নাকি ঢালিব করুণাধারা পাহাড় ডিঙিয়ে,
ভাঙিবে পাষাণভার জগৎ জুড়ে।
রৌদ্রের তীব্র তাপে থরথর করিয়া কাঁপছে পাথর,
রাশি রাশি অগ্নিফুল্কি করছে গ্রাস মস্তিষ্ক।
এখানে ওখানে উঠিলো ফুলিয়া ফেনিল সলিলে,
ঘুরিয়া ঘুরিয়া পাগল প্রায় মিথ্যা রোষানলে।
বিধাতা এতো পাষাণ কেন ভাঙেরে হৃদয় বাঁধন?
বাহির হতে চাই, দেখিতে নাহি পাই কোথায় আপন দ্বার।
আঘাতের পর আঘাত লাগে প্রাণ আমার মাতিয়া ওঠে,
উঠলো কেঁপে পরম বাসনা, ধরনীতে আর কিসের ভয়,
কিসের আঁধার আর কিসের সংশয় বলো আমায়?
মনের ডানা মেলিয়া, প্লাবিয়া বেড়াবো গাহিয়া।
চুল উড়াইয়া, ফুলের সুগন্ধে মন উজাড় করিয়া,
মেঘের শেষে রামধনু আঁকা চিত্র দেখিবো একান্ত নির্জনে।
সূর্য রশ্মির সাথে উঠবে হাসিয়া বুঝি প্রভাতপাখি,
কিচিরমিচির শব্দে কলরবে মুখরিত করবে মুহূর্তখানি।
এতো সুখসুধা কোথায় রাখি, প্রাণ হয়ে আছে ভোর।
কত কথা আছে মনে, স্বপ্ন আঁকা আছে যে বুকে?
কত সুরের তালে দেখনা আমার মন বেজে ওঠে?
এত সবের মাঝে রবির তালে মন ভাসে উজান স্রোতের টানে হৃদয় হাসে।
——————————
রচনায়: জুনায়েদ খান প্রান্ত, বাংলাদেশ।

23140cookie-checkজাগ্রতচিত্ত রবির কিরণে