ব্যস্ততা দেখিয়ে তুমি চলে গেলে আনমনে,
আমার মনের কথাগুলো জমে আছে অনেক সযতনে;
হৃদয়ের গভীর থেকে মনের মনিকোঠোর থেকে-
আমার উদগ্রীপ্ত কম্পিত ঠোটালয়ে-
সেই যতন করা কথাগুলো বলতে চেয়েও-
আর হলনা বলা রয়ে গেলো শোকাহত জরাজীর্ণ অবহেলিত নিলয়ে!
আর হয়তো হবে না বলা কোন কাঙ্খিত সময়ে-
আমার দুঃখ বেদনা ও যেথায় আমার লোকায়িত-
প্রাণের সুখকর নির্লিপ্ত কথামালা-
যেগুলো ছিল একান্তই তোমার আমার সুখ বিলাসের অনন্ত গাঁথা মালা!
তুমি বুঝলে না!
ব্যস্ততা দেখিয়ে তুমি চলে গেলে আনমনে,
আমার মনের কথাগুলো জমে আছে অনেক সযতনে;
আহ! কত যে যন্ত্রণা হচ্ছে কত যে বুকফাটা কান্না আর আর্তনাদ-
ভেতরটা জলেপুড়ে হচ্ছে অঙ্গার তাহা বুঝাবো কাকে বিহণে তুমি?
তুমি বুঝনি! বুঝতে চাওনি! বুঝার ক্ষমতা পেয়েছে লোপ-
তার জন্য দায়ী তোমার ব্যস্ততা চরম ব্যস্ততা!
দেখে নিও! দেখে নিও তুমি!
এভাবে না বলা কথা আর ব্যাথাগুলো-
আমার অঙ্গারকৃত ভেতরটাতে বিস্ফোরণ ঘটে-
মরনের কারণ হবে যে তুমি!
ব্যস্ততা দেখিয়ে তুমি চলে গেলে আনমনে,
আমার মনের কথাগুলো জমে আছে অনেক সযতনে;
এভাবেই বুঝি নিস্তব্ধতার সরল সোজা সুন্দর মনের নাছোড়বান্দা মানবগুলো-
নিজের দুঃখ লুকিয়ে লুকিয়ে সইতে না পেরে-
শেষমেষ! শেষমেষ আত্মহোতি দেয়!
দেয় তাদের নিজেদের নিষ্পাপ জীবনগুলো!
——————————
রচনায়: কামাল আহমেদ, বাংলাদেশ।
ব্যাস্ততা
231000cookie-checkব্যাস্ততা