আজ তোকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম বোধায়।
খুঁজে পেলাম তোর সামগ্রিক সৌন্দর্য কে।
তোর চুল,চোখ,ঠোঁট,হাসি,সব কিছুতে এত মুগ্ধতা কোনোদিন পেয়েবসেনি আমাকে এর আগে।
তোর যমুনা কালো চোখে নিজেকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে আমি তাকাতে পারিনি।
আবার চোখ ফিরিয়ে নেবার ধৃষ্টতা আমার প্রেম বরদাস্ত করেনি।
আমি খুন হয়েছি তোর সানিত দৃষ্টিতে।
তোর হাসির বন্যা আমাকে প্লাবিত করেছে বারে বারে।
নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছি সেই বন্যায়।
বিশ্বাস কর, কুটো ধরে নিজেকে বাঁচাতে ইছে করেনি আমার।
আমি ভাসতে চেয়েছি তোর হাসির বন্যায়।
তোর প্রতিটা কথায়, প্রতিটা আঙ্গিকে,প্রতিটা ভঙ্গিতে তুই বিদ্ধ করেছিস আমায়।
খুন করেছিস আমায়।
তোর উদ্দাম যৌবন পোশাকের বাধাকে অগ্রাহ্য করে মুক্ত হতে চায়।
সেই অবাধ্য যৌবন আমাকে নেশাতুর করেছে বারে বারে।
আমি মত্ত, আমি মাতাল, আমি তোর নেশায় নিজেকে ভুলে তোর খুনি যৌবনের তলোয়ারের উপরে নিজেকে সোপে দিয়েছি।
চপলা সুন্দরীর হাতে আত্মসমর্পণ করা এক প্রেমিক আমি।
আমি আবিষ্কার করেছি তোকে।
আমার প্রিয়তমাকে আমি আবিষ্কার করেছি।
খুঁজে নিয়েছি আমার তিন্নী কে।
আমি আবিষ্কার করেছি তোকে।
——————————
রচনায়: বিদ্যানন্দ রায়, ভারত।