ভাল্লাগেনা প্রানের খেলা
মিথ্যে যতো স্মৃতিচারণ !
সমস্ত দিক ওলটপালট,
মানছে না আর কোন বারণ।
ইচ্ছেগুলো স্বপ্ন হয়ে
একের পর এক মেলছে ডানা,
হৃদয় একাই বসে থাকে
আর কারো নেই আনাগোনা !
তারই মধ্যে হঠাৎ করে, হৃদয়পুরে
‘তাহার’ আগমনটি ঘটে,
বুকের মধ্যে গোলাপ ফোটে !
ফুটুক, তাতে দোষ কিছু নেই
কিন্তু যদি কাঁটাগুলো
একের পর এক বিঁধতে থাকে
বুকের ঠিক বাঁ পাশটাতে !
যদি তারা ক্রমাগত ভরিয়ে দেয়
হৃদয় তোমার গভীর ক্ষতে !
তখনও কি গোলাপ ফোটে ?
তখনও কি ‘তাকে’ দেওয়া কথাগুলো
রাখার জন্য মনটা তোমার
ব্যাকুল হয়ে ওঠে ?
যদি হৃদয় আজও ‘তারই’ কথা বলে,
তুমিও তবে তাদের দলে,
তুমিও তবে তাদের মতো একের পর এক
রাত্রিগুলো জেগেই কাটাও,
কবিতারা আসবে বলে !
জানো তারা আসবে না আর
কোথায় যেন গেছে মিশে,
ঠিক যেভাবে প্রাণের মানুষ
হারিয়ে গেছে নিরুদ্দেশে !
ঢের হয়েছে গল্পকথা
পাঁচটাবছর হয়না দেখা !
তবু বোধহয় আজও হৃদয় ‘তাকেই’ চায় ।
মরছ ঘুরে ‘তারই’ খোঁজে
এমন সময় খাতার ভাঁজে,
খুঁজে পেলে হারিয়ে যাওয়া একটা খাম !
“যদি আমি তোমায় ছেড়ে
হারিয়ে যাই অনেক দূরে
যত্ন করে রেখো আমার এই চিঠি……”
বাকিটা আর যায়নি পড়া
মুছিয়ে দিলো অশ্রুধারা
ছিল হৃদয়ে যেথায় যত মেঘ জমে ।
‘তাহার’ কি আর একটিবারও ,তোমার কথা মনে পড়ে ?
না পড়ুক, তাতে দোষ কি বলো ?
কেবল দুচোখ ছল-ছল
ভাবো আজও কষ্ট পাও শখ করে !
একেই যদি প্রেম বলে
আমি প্রেমিক নয় তাহলে !
নাই দেখালাম প্রেম দিবসের বীরত্ব ।
প্রেম জিনিসটা করতে নারি
বরং ভালোবাসতে পারি
না হয় তাতে নাইবা পেলাম গুরুত্ব ।।
—————————–
রচনায়: অপরাজিতা চন্দ্র, ভারত।