আমাকে ঘিরে শুধুই নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে,
মনখারাপিয়া মেঘের আনাগোনা অনুভব করছি মনের ক্যানভাসে,
মর্মস্থলে শুনতে পাচ্ছি ঝড়ের শব্দ
তবুও আমি থাকছি শব্দহীন।
বুকের ভেতর শব্দ ভাঙছে অবিরত,
কেউ যেন দেখতে না পায়,
তাই টুকরো টুকরো হয়েও
বিলিয়ে দিচ্ছি নিজেকে
ফিরে যাওয়া হাওয়ার আকুলতায় ।
বুকের গভীরে জমে থাকা কথারা
ভাঁজ ভেঙে উঠে আসার অছিলায়
মেপে নিতে চায় নৈঃশব্দ্যের গভীরতা।
অনেক দূরের কোন ঢেউয়ের ধাক্কায়
এ পারে চলকে ওঠে এক আঁচলা জল,
ভিজে যাওয়া উপত্যকা জুড়ে
নতুন কান্নারা আঁকিবুকি কাটে
পরিত্যক্ত মনের খাতে ।
আমি জানি আমার নিজস্ব শব্দরা
এখনও জড়িয়ে আছে মনের গহীনে,
কোনদিন তারা ঢেউ তুলবে না
অচেনা সাগরে ,
চেনা ঢেউরা বইছে নিছক স্রোতের টানে,নিত্য তাদের সরলরেখার যাত্রাপথে।
অনেক মোহনা অতিক্রম করে
আসা ঢেউয়ের কলরবে ভিজে ওঠা
সকালের স্পর্শ নিয়ে ভেবেছিলাম ,
আমিও তো নদী হতে পারি।
ভুলে গিয়েছিলাম সেই ঢেউও ফিরে যায় নতুন মোহনার উৎস খোঁজার
ঠিকানায় ।
পিছনে রেখে যায় অজস্র নুড়ি-পাথরের সংসার আর নির্জন
চরের উপাখ্যান ।
কখনও না খোলা খামের অভ্যন্তরে
গুমরে মরা না পড়া চিঠির মতোই ,
একান্ত নির্জনতার সঙ্গী হয়
একলা একদম একলা একটা বালুচর ।
—————————–
রচনায়: ঝুমা পাল, ভারত।