হোয়াতে আসা একটা গানের মানে সেদিন হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি।
পরে শুনেছি অনেক বার।
মিউজিক ফাইলে সেভ মোডেও আছে সে গান।
প্লে লিস্টে জ্বলজ্বল করছে সে গানের নাম।
ভাল লাগত শুনতে,তাই শুনতাম।
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গানের কথাগুলো শুনতাম।
বোঝার চেষ্টা করতাম।
বুঝেছি ভাল মতন, যেদিন থেকে তোকে চোখে হারালাম।
গানের প্রতিটা লাইনের মানে, বুঝতে শিখলাম।
যেদিন তোকে, নিজের থেকে হারালাম।
শুরু হ’ল, আমার মনকেমনের জন্মদিন।
হারিয়ে যাবি,বলেছিলি একদিন।
ইয়ার্কি ঠাট্টায় গড়ে ওঠা আমার আমি সেদিন, কথাটা হাল্কা ভেবে নিয়ে ভুল করেছিলাম।
হাল্কা করে নেওয়া কথাটাই হল্কা হয়ে ফিরে এসেছে আমার দিকে।
আষ্টেপৃষ্ঠে আমাকে জড়িয়ে ধরল, আমার ‘ মন কেমনের জন্মদিন’।
বুঝেছি, হারিয়ে ফেলেছি।
দোষ-গুনে ভরা আমার, আমিগুলো তোকে হারিয়েছে।
হারিয়েছি, পুরোনো তোকে।
তোর সেই তুই গুলোকে।
খুঁজেছি জানিস?
খোঁজার চেষ্টা যে করিনি ভাবিস না।
এখনো খুঁজেই চলেছি।
ভীষণ অন্যায় গুলো অন্যায়ভাবে যখন আমাকে পেঁচিয়ে ধরেছিল!
হয়তো চেষ্টাই করিনি সেগুলোর থেকে নিষ্ক্রমণের। অভিমন্যুর মতো চক্রব্যূহে ফেঁসে গেছি।
ঠিক এই মুহুর্তে আমার মনে পড়ছে, রূপমের সেই গান,
”চক্রব্যূহে আমি…”
নাহ্।
অজুহাতের আশ্রয়ে নিজেকে আশ্রিত করতে চাই না।
অজুহাতে, তোকে ফিরে পেতে চাই না।
হ্যাঁ।
অজুহাত খুঁজে মন, তখন।
খুব মনে পড়ে তোকে, যখন।
ঠোঁট দু’টো, তোর সাথে কথা বলতে উতলা হয় যখন।
তখন অজুহাত খোঁজে মন।
সারাদিন, তোকে একটু নিজের করে কাছে পাবার।
নিভৃতে, তোর সাথে একান্ত হবার।
দুঃখের আভরণ সরিয়ে, সুখের চাদরে তোকে মুড়িয়ে দেবার।
যদি কোনো দিন, একমুহুর্তের জন্য তোর পুরোনো তুইগুলোকে খুঁজে পাই…
নতজানু হয়ে বলতে চাই,
“নিজেকে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে চাই তোর কাছে।”
” দোষ-গুনে ভরা আমার আমি গুলোকে,
বিসর্জিত করতে চাই তোর কাছে।”
আরও একবার ভুল মানুষটার বন্ধু হবি?
আধ খাওয়া টিফিন বক্সের সঙ্গী হবি?
মরচে ধরা সিজার, ধূলোর মোড়কে মোড়া পেন্সিল বক্সের…
অশেষ হওয়া পথের…
মন কেমনের দিন গুলোর একান্ত সাথী হবি?
আরও একবার বন্ধু হবি?
চল না প্লিজ বন্ধু হবি।
শেষে ওই গানটার মতো করি বলি?
”সব ভিজে যাক।
বেঁচে থাক শুধু অভিমান।”
——————————
রচনায়: ঝিলিক মুখার্জী গোস্বামী, ভারত।