পথ শিশু রাস্তায় কাঁদে
কেউ নাই দেখিবার।
হাজার লোক বাজার করে
কেউ নাই বুঝিবার।
ক্ষুদার জ্বালায় কান্দে শিশু
পরান যায় জ্বলিয়া।
এক মুটো ভাত দাওনা কেউ
সইতে পারিনা আর ক্ষুধার জ্বালা।
পথচারী দেখে না কেউ
চলে আপন গতিতে।
হাউমাউ করে কাঁদে শিশু
রাস্তায় পড়ে।
ভাই-বোনের শুন আমার কথা
কয়দিন ধরে পড়েনা পেটে দানাপানি…।
পরাণ বাঁচাও, ভিক্ষা দাও
এক মুটো ভাত আমায়।
বাঁচতে চাই, ভিক্ষা চাই
ফিরাইওনা আমায়।
মা মরেছে করোনা রোগে
বাবা নিরুদ্দেশ।
আমি এখন একলা থাকি
এই জনমে কেউ নেই।
নিষ্ঠুর জগতের,নিষ্ঠুর মানুষ
কেউ দেয়নি আশ্রয়।
তাইতো হলো আমার
শূন্য আকাশের নিচে ঠাঁই।
কত যে রোদে পুড়ে,বৃষ্টিতে ভিজে
তার নেই কোন হিসেব।
আজ এখানে কাল ঐখানে
ঘুরি লোকের দুয়ারে দুয়ারে।
উটকো ঝামেলা ভেবে আমায়
তাড়িয়ে দেন সবাই।
এক মুটো ভাত দেয়না কেউ
আপন মহিমায়।
ক্ষুধার জ্বালা মিটায় শেষে
সাদা পানি পান করে।
পেট পুরে খাই সবাই
চেয়ে থাকি তাদের পানে।
আপন মনে বলে বেড়ায়
এক মুটো ভাত দাওনা আমায়।
দেয়না কেউ এক মুটো ভাত
সবাই দেয় তাড়ায়।
জনম দুখী কপাল পোড়া
হয়না কোথাও ঠাঁই।
পথে পথে ঘুরে বেড়াই
পথে আমার ঠাঁই।
তাইতো সবাই বলে বেড়ায়
পথ শিশু আমায়।
ক্ষুধার জালায় মরে যাব
এক মুটো ভাত দাওনা আমায়।
কেউ শুনেনা তাহার কথা
চলে আপন পথে।
ক্ষুধার জ্বালায় মরে শিশু
এক মুটো ভাত না পাওয়ায়।
——————————
রচনায়: আফছানা খানম অথৈ, ভারত।